১। প্রোডাক্ট ফিল্টারিং

অনেক প্রোডাক্টের মাঝে নিজের পছন্দের কালার, ব্র্যান্ড, সাইজ কিংবা নিজের বাজেট অনুযায়ী প্রোডাক্টগুলি খুঁজে বের করার জন্য প্রোডাক্ট ফিল্টারিং ফিচারটি অত্যন্ত কার্যকরী। মনে করি, রবিন সাহেব ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মাঝে স্যামসাং ব্র্যান্ডের একটি স্মার্টফোন কিনতে চাচ্ছেন যেটাতে র‍্যাম থাকবে অন্তত ৪ জিবি এবং প্রাইমারী ক্যামেরা থাকবে ন্যূনতম ১৩ মেগাপিক্সেল। এখন রবিন সাহেব আপনার ই-কমার্স সাইটে ভিজিট করল যেখানে আপনি সব ব্যান্ডের স্মার্টফোন বিক্রি করেন। এখন আপনার সাইটে যদি বিভিন্ন ফিল্টারিং ফিচারগুলি না থাকে তাহলে শত শত স্মার্টফোন থেকে তার পছন্দের ফোনটি খুঁজে পেতে অনেক বেশি সময় লাগবে এবং একই সাথে তিনি একটি বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হবে। কিন্তু আপনার সাইটে যদি প্রাইস ফিল্টারিং, ব্র্যান্ড ফিল্টারিং, র‍্যাম ফিল্টারিং, ক্যামেরা ফিল্টারিং ফিচারগুলি থাকে তাহলে রবিন সাহেব কয়েক ক্লিকেই তার বাজেট এবং পছন্দ মত সব গুলি প্রোডাক্ট খুঁজে নিতে পারবে এবং একই সাথে তিনি একটি আনন্দদায়ক এবং প্রফেশনাল অভিজ্ঞতা উপভোগ করবে।

একজন কাস্টমার যত দ্রুত এবং সহজে তার বাজেট এবং পছন্দ মত প্রোডাক্ট খুঁজে নিতে পারবে, আপনার ওয়েবসাইট থেকে ঐ প্রোডাক্টটি কেনার সম্ভাবনা তত বেশি থাকবে। তাই, কাস্টমারকে একটি সহজ এবং দ্রুত শপিং অভিজ্ঞতা উপহার দেওয়ার জন্য এবং বিক্রি বাডানোর জন্য আপনার ই-কমার্স সাইটে প্রোডাক্ট ফিল্টারিং ফিচারটি থাকা আবশ্যক।

২। প্রোডাক্ট লাইভ সার্চ

গুগলে সার্চ করেনা এরকম ইন্টারনেট ব্যবহারকারী খুঁজে পাওয়া মুশকিল। কিছু একটা খুঁজতে চাই কিংবা কিছু সম্পর্কে জানতে চাই, সঙ্গে সঙ্গে আমরা গুগুল মামার শরণাপন্ন হই। আমরা মানুষ আসলে সার্চ করতে পছন্দ করি কেননা আমরা সবসময় চাই কম সময়ে অনেক কিছু পেতে। তাই, আপনার ই-কমার্স সাইটে একটি লাইভ সার্চ বক্স থাকা আবশ্যক যেখানে কিছু টাইপ করা মাত্রই এই রিলেটেড সকল প্রোডাক্ট সো করবে এবং এই সার্চ ফিচারটি অবশ্যই যেন গুগলের মতন ফার্স্ট হয়।

৩। প্রোডাক্ট কম্পারিজন

প্রোডাক্ট ফিল্টারিং, লাইভ সার্চ ইত্যাদি এডভান্স ফিচারসমূহের মাধ্যমে আপনি আপনার পছন্দ এবং বাজেট অনুযায়ী প্রোডাক্ট গুলি খুঁজে পেলেন। মনে করেন আপনার পছন্দমত ৩ তা ফোন খুঁজে পেয়েছেন কিন্তু সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না কোন ফোনটি কিনবেন। এরকম অবস্থায় আমরা প্রায় সময়েই পরি। এটা না ঐটা? ঐটা না এইটা? এরকম সিদ্ধান্তহীন অবস্থা থেকে আপনাকে সিদ্ধান্ত খুঁজে দেবার জন্য প্রোডাক্ট কম্পারিজন ফিচারটি অত্যন্ত কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। এই ফিচারটির মাধ্যমে একজন কাস্টমার দুই বা ততোধিক প্রোডাক্টের মাঝে তুলনা করে সবচেয়ে ভালো প্রোডাক্টটি খুঁজে নিতে পারে।

৪। প্রোডাক্ট স্কট ম্যানেজার

মনে করি, আপনার কাছে আপনার কাছে একটি নির্দিষ্ট মডেলের টি-শার্ট ৫ পিস আছে। এখন ৫ পিস প্রোডাক্ট বিক্রি হয়ে যাবার সাথে সাথেই যদি অটোমেটিক বিক্রি বন্ধ না হয়ে যদি বিক্রি চলতেই থাকে তাহলে অনেক অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে পারে যা আপনার ই-কমার্স ব্যবসায় কখনই কাম্য নয়। প্রোডাক্ট স্কট ম্যানেজার ফিচারটি আপনার প্রোডাক্ট পেজে প্রোডাক্টটি কয় পিস আছে সেটা দেখাবে এবং অত পিস বিক্রি হয়ে গেলে অটোমেটিক বিক্রি বন্ধ করে দিয়ে SOLD OUT লেখা দেখাবে। তাই, এরকম জরুরি একটি ফিচার আপনার প্রফেশনাল ই-কমার্স ওয়েবসাইটের জন্য আবশ্যক।

৫। প্রোমো কোড / কুপন কোড

ডিসকাউন্ট পেতে কে না পছন্দ করে? কোন একটি নির্দিষ্ট প্রোডাক্টে কিংবা সব প্রোডাক্টের উপর নির্দিষ্ট সময় কালের জন্য প্রোমো কোড কিংবা কুপন কোড এর মাধ্যমে ডিসকাউন্ট অফার দেবার জন্য এই ফিচারটি অতীব জরুরী। অফারকালীন সময় অতিবাহিত হবার পরে প্রোমো অথবা কুপন কোড গুলো অটোমেটিক অকার্যকর হয়ে যাবে। তাই এই ফিচারটির মাধ্যমে আপনি খুব সহজে প্রফেশনাল ভাবে অফার দিতে পারবেন।